শহর সমবায় ব্যাঙ্ক– সমস্যা ও প্রতিকার
অশোক রায়
সাম্প্রতিক সময়ে দেশেরকয়েকটি সমবায় ব্যাংকের উপররিজার্ভ ব্যাংক নিষেধাজ্ঞা জারিকরার খবর সংবাদমাধ্যমে আসার পর মানুষের মনে সমবায়ব্যাংকের বিষয়ে উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
কিছুদিনআগে YES Bank এধরনের সমস্যা হলে তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে SBI এগিয়ে এসে বিরাট পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।ইতিপূর্বে GLOBAL TRUST BANK উঠে যাওয়ার উপক্রম হলে তাকে Oriental Bank of Commerce এর সঙ্গে সংযুক্তি করণ করা হয়।
সংবাদ মাধ্যমে সমবায়ের সাফল্যের কথা লেখা হয়না, সমস্যাকে বহু গুণ বাড়িয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়।রিজার্ভ ব্যাংক গত ১৬.০৮.২০২০ B.R.Act এর 35A ধারা অনুসারে দেশের ৩২টি ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের নগদ লেনদেনের উপর ও ব্যাঙ্কের কিছু কাজকর্মের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, ব্যাঙ্কগুলি কিন্ত বন্ধ করে দেয়নি। এর মধ্যে বেশীরভাগ ব্যাঙ্ক আবার ঘুরে দাঁড়াবে। আমাদের রাজ্যের ইউনাইটেডকোঅপারেটিভব্যাঙ্ক, বাগনান ও কলকাতা মহিলাসমবায় ব্যাংক এইনিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে।
উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে দেশের শহুরে নিম্ন আয়ের মানুষজন –শ্রমিক দোকানমালিক ও মধ্যবিত্তের আর্থিক প্রয়োজনে তাগিদেই এই সমবায় সমিতিগুলোর জন্মহয়েছিল। কালক্রমে এইসমিতিগুলো রিজার্ভ ব্যাংকের লাইসেন্স পেয়ে শহর সমবায় ব্যাঙ্কে রূপান্তরিত হয়।
জানাযায় যে গুজরাটের বরোদা (now Vadodora) শহরে ১৮৮৯সালে Anoyna Sahakari Mandali Co operative Bank Ltd দেশের প্রথমস মবায় ব্যাঙ্ক মাত্র ২৩জ নসদস্য ও ৭৬টাকা মূলধন নিয়ে কাজ শুরু করে ,যার মূল উদ্দেশ্য ছিল মহাজনদের হাত থেকে শহুরে মানুষকে রক্ষা করা। দূর্ভাগ্য যে এই প্রাচীনত মসমবায়ব্যাঙ্কটিকে ২০০৭সালের সেপ্টেম্বরমাসে B.R Act এর সেকশন ৩৫ অনুযায়ী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যখন বন্ধের নির্দেশ দেয়,তখন বরোদাশহর ও তার আশপাশে ব্যাঙ্কের ১০টি শাখা ছিল ও শেয়ার হোল্ডারের সংখ্যা ছিল ২৬০০০। ২০০৮ সালের মার্চ মাসে ব্যাঙ্কটি বন্ধহয়ে যায়।